থানায় অভিযোগ কখন আর জিডি কখন করা উচিৎ।
-এইচ এম গোলাম কিবরিয়া রাকিব।
দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের এ বিষয়টি জানা একান্ত প্রয়োজন; কখন থানায় অভিযোগ আর কখন জিডি করবো।এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু কথন।
আমরা অনেকেই থানায় গিয়ে বিভ্রান্তির মুখে পড়ে থাকি, কখন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করবো আর কখন অভিযোগ করবো, তা বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে পারিনা। বিভিন্ন মহল সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনের নিকট থেকেও কখনো ভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক পরামর্শ পাওয়ার ফলে ক্ষোভ, হতাশা বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়,যার ফলে অতি সামান্য বিষয় এক মহা বিপদে পরিনত হয়,যা সকলের জন্যই বিষন্নতায় প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে মফস্বল প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব বেশি। এই বিভ্রান্তি দূর করতে সঠিক ধারণা রাখা একান্ত জরুরি।
*জিডি কখন করা উচিৎ :
হালকা মারামারি (যেখানে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা নেই)
ধাক্কাধাক্কি, গালমন্ধ বা চিৎকার-চেঁচামেচি
ভয়ভীতি বা সাধারণ হুমকি দেওয়া
সামান্য ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটলে;
এসব ক্ষেত্রে বড় অপরাধ না থাকায় থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরিই (জিডি) যথেষ্ট।
জিডির তদন্তের জন্য সাধারণত আদালতের (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের) অনুমতি নিতে হয়, তাই তদন্তের জন্য অনেকটা সময় প্রয়োজন হয়।
*অভিযোগ কখন করা উচিৎ :
বড় ধরনের মারামারিতে গুরুতর হতাহত হলে
চুরি, ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটলে।
কারও বাড়ি থেকে টাকা, মোবাইল, সোনার গয়না বা অন্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেলে
জোর করে কিছু কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটলে
এমন গুরুতর অপরাধ হলে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে মামলা রুজু করেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনি প্রক্রিয়া পরিচালনা করে থাকেন।
লক্ষ্মণীয় যে,
অনেকে ভুল পরামর্শে পড়ে থানায় গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। মনে রাখবেন, পুলিশ প্রশাসন আইনের নির্ধারিত নিয়ম মেনেই আমাদের সেবা দিবেন। তাই কারো কথামতো নয়, সঠিক তথ্য জেনে আমাদের থানায় যাওয়া উচিৎ । অভিযোগ বা জিডি যা ই করি না কেন, তা যেন সঠিক নিয়ম অনুযায়ী হয়।
-এইচ এম গোলাম কিবরিয়া রাকিব।
প্রতিষ্ঠাতা:কুমিল্লা জিলা মাদরাসা।
খতিব ও টিভি প্রোগ্রাম উপস্থাপক।